Tribute Wall
In Memory of
Mr. Jerome D'Costa
Loading...
P
Peter posted a condolence
Monday, November 14, 2022
বিনম্র এক জ্যোতির্ময়ের বিদায়
—————————————————————
মুকুট পি কস্তা
—————————-
শ্রদ্ধেয় যেরুম ডি’ কস্তা
—————————-
প্রতিজনের বিদায়ের ডাক আসে যখন ওপাড় থেকে আদেশ আসে আর তখন কারও কিছু করার থাকে না । এপাড় থেকে আমরা মরণ কামড় দিয়ে চেষ্টা করি তাকে আঁকড়ে ধরতে কিন্তু কিছুই করতে পারি না আর এটাই হলো আমাদের ক্ষমতার নাগালের বাইরে। ডাক্তার বলো কবিরাজ বলো গনিতজ্ঞ্য বলো মহা বিজ্ঞানী বলো যাহা খুশি তাহা বলো কেউ রবে না এ ভবে এটাই বিধাতার নিয়ম। জন্মিলে মরিতে হইবে তাহা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
বিশ্ব ভ্রমান্ডের নক্ষত্রের যেমন পতন হয় ঠিক তেমনি মানব জীবনের উজ্জল নক্ষত্রেরও পতন হয় । আর আমাদের অতি প্রিয় এক নক্ষত্র “যেরুম ডি’ কস্তা” এ পৃথিবীর মোহ মায়া ভালবাসা সব কিছুকে পিছন ফেলে চলে গেলেন গত রবিবার , নভেম্বর ৬ তারিখ । এ যেন এক অনাকাংক্ষিত যাওয়া কেউ ভাবতেই পারেনি এত তাড়াতাড়ি এ মহা জীবনের প্রস্থান হবে।
বাংলাদেশের কাথলিক মন্ডলী তথা খ্রীষ্ট মন্ডলীতে যিনি ছিলেন এক অপূরনীয় তথ্য সম্ভার যার কলমের খোঁচায় রচিত হয়েছে বাংলাদেশের কাথলিক মন্ডলীর ইতিহাস সহ আরও বহু তথ্য মূলক সম্ভার। বাংলাদেশকে তিনি এত বেশী ভালবাসতেন যে তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তাঁর ‘BLOG ‘এর মাধ্যমে উচ্চ আসনে নিয়ে গেছেন। খ্রীষ্ট মন্ডলীতে তার অবদান ছিল অতুলনীয় যার বিপরীতে মন্ডলী থেকে তিনি তেমন কিছুই পান নি তার জীবনকালে আর এটাই হলো আমাদের খ্রীষ্ট মন্ডলীর চরম দূর্ভাগ্য যে তারা সম্মানীকে সম্মান দিতে জানেন না। জীবনকালে তিনি কয়েক বছর যাবত দুরারুগ্য ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগেছেন অথচ তাকে আমাদের মন্ডলী প্রধানরা কেউ খোঁজ নেন নি যে তিনি কেমন আছেন অথচ মন্ডলীকে তিনি দিয়েছেন তার হৃদয় নিঙরানো কাজ যা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জেরুম ডি’ কস্তা ছিলেন আমাদের ভাওয়ালের একজন কৃতি সন্তান যার লেখনিতে বা তার কাজে সেটা প্রমান হয়। তিনি তার জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী এবং পরপোকারী ছিলেন বিশেষ করে তার কাছে কেউ কোন কাজ বা পরামর্শের জন্য গেলে তিনি কখনই বিমুখ করতেন না। বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশ খ্রীষ্ট মন্ডলীতে সেবা দিতে বেশী পছন্দ করতেন। কাথলিক মন্ডলীর একমাত্র সাপ্তাহিক পত্রিকা “প্রতিবেশী” তে তিনি বেশ কয়েক বছর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন নিষ্ঠার সাথে। এ ছাড়া ও তিনি কারিতাস , ওয়ার্ল্ড ভিশন এর মত NGO তে অনেক বছর কাজ করে গেছেন। তিনি ফ্রী-ল্যান্স জার্নালিষ্ট হিসাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমার জানা মতে তিনি ছিলেন খুব একজন সৎ মানুষ এবং সঠিক বক্তা কারণ আমার দেখা মতে তিনি কোন সভায় কোন বিষয়ে যেটা সঠিক সেটা বলতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করতেন না। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত পারিবারিক মানুষ যিনি তার পরিবারের পরিচর্যা করতে ভুল করতেন না যার কারণে তার সন্তানরা আজ স্ব মহিমায় দন্ডায়মান। সামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি ছিলেন খুবই উদ্যোগী যার বহি প্রকাশ আমরা দেখতে পাই কানাডায় BACO বা Bangladesh Catholic Association Of Ontario তে প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী হিসাবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন। অতএব আমি নির্দিধায় বলতে পারি তিনি ছিলেন আমাদের খ্রীষ্টান সমাজে এক জোতির্ময় মহা মানব যিনি তার জীবন কালে আমাদের জন্য রেখে গেছেন মহা মূল্যবান তথ্য সম্ভার যার থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি - জানতে পারি ।
P
Peter D posted a condolence
Monday, November 14, 2022
We will miss you very much Jerome da. We have lost a great friend and benefactor. We remember the precious times we spent together with you and your family when we had just arrived in Canada. The world has lost a great leader, writer and thinker. You will be remembered for your beautiful life of simplicity and kindness. Though you had great abilities, you were so soft spoken and humble. As a former National Leader of Marriage Encounter of Bangladesh, I can tell that ME Bangladesh will always remember you for your participation and support for the ME movement. The Catholic community of Bangladesh and Canada will always remember you for your important contribution for the betterment of the society. Now, May God give you Peace and eternal Rest in His arms."
May God give peace and healing to you, Mary didi and to all your grieving family.
God bless.
Yours,
Matthew Mendez
P
Peter D’Costa posted a condolence
Saturday, November 12, 2022
Marcel A Gomes
নভেম্বরের ৬ তারিখ রবিবার দুপুরের আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিলো শ্রদ্ধেয় যেরোম ডি কস্তার মৃত্যু সংবাদ। গত কয়েক দিন পোস্ট গুলো দেখতে দেখতে অনেক কথা মনে হচ্ছিলো। জন্মসূ্ত্রে আমরা উভয়ই একই গ্রাম – রাঙ্গামাটিয়ার মানুষ। তাঁর মায়ের স্নেহের শাসনে রাঙ্গামাটিয়া মিশন প্রাইমারি স্কুলে আমার বিদ্যাপাঠের হাতে খড়ি।
’সাপ্তাহিক প্রতিবেশী’ সাথে পরিচয় ছিলো গ্রামে থাকতেই, আমার মা পড়তেন। ঢাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি সে পরিচয় চলমান ছিলো। লেখালেখি ভালোলাগার কারনে রবিবার এলেই প্রতিবেশীর একটা কপি সংগ্রহ করতাম। ’প্রতিবেশী’র সাথে সম্পর্কটা নিবিড় হয় যেরোমদার সময়ে। তিনি সারাদেশ থেকে কিছু তরুনকে ঢাকায় একত্রিত করে সাংবাদিকতার উপর প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করেছিলেন। তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম।
ছাত্র কল্যাণ সংঘে নেতৃত্ব দেয়ার পর সংযুক্ত হয়েছিলাম ঢাকা ক্রেডিটের সাথে। শ্রদ্ধেয় ডানিয়েল কোড়াইয়া তখন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট। আলোচনা হচ্ছিলো ঢাকা ক্রেডিটের মূখপত্র হিসাবে একটি নিয়মিত প্রকাশনা বের করার। সমাজের নেতৃস্থানিয়দের মতামত জানার জন্য ডানিয়েল কোড়াইয়ার সাথে আমিও যেতাম। একদিন ওয়ার্ল্ড ভিশনে যেরোমদার অফিসে। প্রস্তাব শুনে তিনি হাসিমুখে সাধুবাদ জানালেন। নানা বিষয় পরামর্শ দিলেন। তারপর ‘সমবার্তা’র সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু। মাঝে মধ্যে পরামর্শ করতে দেখা করতাম। উৎসাহ যোগাতেন।
১৯৮৯ কথা। যেরোমদা ডেকে পাঠালেন অফিসে। দেখা করলাম। একটা ছোট্ট কাগজে ইংরেজীতে কয়েকটা শব্দ লেখা – আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন - এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরী করতে হবে। আমি চেষ্ট করলাম কিছু একটা দাড় করাতে। লেখাটা তার কাছে জমা দেয়ার কয়েক মাস পর তিনি জানালেন – আমাকে UCIP আয়োজিত Summer University Program-এ মনোনিত করা হয়েছে। প্রোগ্রাম হবে ১৯৯০ সনের জুন-জুলাই মাসে আমেরিকা ও কানাডায়। প্রোগ্রাম থেকে ঘুরে এসে দেখা করলাম। যেরোমদা স্বভাবসুলভ একটু হেসে বললেন- খুশি হলাম। এবার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাও।
কানাডায় স্বপরিবারে চলে যাওয়ার পর যোগাযোগ কমে যায়। তারপর ২০১৭-তে ঢাকায় দেখা। মনিপুরিপাড়ায় আমাদের বাসায় বিগত ১৯শে জুলাই, ২০১৭ আমাদের সাথে কয়েক ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের খ্রষ্টান সমাজ গঠনে তার ভুমিকা সময় নির্ধারন করবে। মহৎ প্রান এ মানুষটির প্রতি আমার বিন্ম্র শ্রদ্ধা। ভালো থাকবেন যেরোমদা।
P
Peter D’Costa posted a condolence
Saturday, November 12, 2022
Shurid Condolences on the sad demise of you father Shurid Jerome D'Costa.
To Francis & all,
Please read 1969 instead of 1979.
Jeromeda was in the 1st executive committee of Shurid Shangha,i which was formed in Dec 07. 1969.
Shurid Dr Neville DRozario
General Secretary, Adhoc & 1st ExecCommittee.
Shurid Shanghai
November 10, 2022
Dear Peter,
We the members of Shurid Sangha are deeply sadened and shocked at the passing away of your dear father and our beloved Shurid Jerome D'Costa.
Shurid Jerome D'Costa was a founding member of Shurid Sangha since its inception in 1979.
During its formation process and drafting of its Constitution he encouraged us and contributed his thoughts and ideas which helped us to draft a well-crafted Constitutin for the Sangha.
After the Sangha was formed and the Constitution was adopted, the first General Election was held and Jerome 'Da was elected as the first Religious Secretary. Under his leadership the Sangha started to participate in various activities of the church and a strong bond was formed between the Sangha and the Parish Council and very soon the Shurid cultural group started to perform religious songs during the mass.
Later on Jerome 'Da joined the weekly Protibeshi as its editor and consequently World Vision as its Communication Director.
Shurid Jerome D'Costa has always been a pioneer for the development of our community, and upheld the history of the Christian Community in his esteemed book 'Bangladesher Christo Mondolir Itihash'. He was a great journalist and was very knowledgeable about the affairs and the history of the church. He was also very actively involved with the formation and activities of various community development organizations in Toronto, Canada.
He was a very soft spoken, kind hearted and a pious person. He led a very simple life.
It has been a great honor and priviledge for all of us to know and work with him, learn from him and spend a joyful and happy part of our lives with this great soul.
'Those we love don't go away, they walk beside us every day - unseen, unheard but always nearby. Still loved, still missed, and very dear'. May our God Almighty grants Jerome 'Da Eternal Rest and Peace.
Our deepest condolences to your mother, and to the rest of your family. We assure you of our prayers and ask God to give you strength during this difficult time.
Sincerely,
On hehalf all the Shurids around the world,
Shurid Francis Chandan Gomes.
MN, USA.
P
Peter D’Costa posted a condolence
Saturday, November 12, 2022
Bangladeshi Catholics mourn prominent writer, journalist
Jerome D'Costa is credited for his contribution to Christian literature, history, and culture
Stephan Uttom Rozario
Stephan Uttom Rozario Updated: November 08, 2022 12:12 PM
Catholics in Bangladesh are mourning the death of prominent Catholic author and journalist Jerome D'Costa who passed away on Nov. 6 at the age of 75.
D'Costa died due to respiratory complications, his family members said. He has been living in Canada with his family since 1997.
He leaves behind his wife and four sons.
D'Costa is credited for his contribution to Christian literature, history, and culture through journalism, translation, editing, blogging, and social activities since Bangladesh became independent in 1971.
He was born in 1947 in Gazipur district and his family belonged to Sacred Heart parish in Bhawal region, a Catholic stronghold in the Archdiocese of Dhaka.
He joined a seminary to become a priest but left the formation in 1966. He later studied journalism at Dhaka University and Communication Arts in the USA in 1977.
He was the editor of Bangladesh's only national Catholic publication Weekly Pratibeshi (Neighbor) from 1981-1983. He is the only layperson to serve as editor of the 82-year-old publication.
He also worked for international Catholic news services such as UCA News and the India-based South Asian Religious News.
D'Costa worked as the public relation officer for the Catholic charity Caritas Bangladesh and as the communication manager for the development agency World Vision Bangladesh (WVB). He later became an Associate Director of WVB.
In 1988, he published a 595-page book, Bangladeshi Catholic Mondoley (Catholic Church in Bangladesh), the first book on the history and growth of the Catholic Church from the arrival of Portuguese Catholic missionaries in the late 16th century to the visit of Pope John Paul II in 1986.
Caritas Bangladesh's promotion came from his hands through effective communication. He took the first step to promote the Bangladesh Catholic Church to the world by engaging with UCA News, said Benedict Alo D'Rozario, president of Caritas Asia and former executive director of Caritas Bangladesh.
D'Costa worked to modernize the Catholic weekly he edited. He taught many young people to write effectively and precisely, said D'Rozario, a former member of the weekly's Editorial Board told UCA News.
D'Costa also worked as secretary of the South Asian Catholic Press Association for eight years and was its president for two years until 1995.
Father Joyanto S. Gomes, a former editor of Weekly Pratibeshi, said D'Costa was a guru to many Catholic writers and journalists.
His legacy as a writer and editor will last forever, Father Gomes, former secretary of the Catholic Bishops' Social Communication Commission, told UCA News.
Although he left Bangladesh in 1997, he was always ready to support the Church, he said.
D'Costa also translated many books into Bengali during his lifetime. Among them are — Christian Theology Handbook, Second Vatican Council Document – Social Instruction, Introduction to the New Testament of the Bible, Charles de Foucault, Hero of the Desert, Come to Jesus, Power Relations in Rural Development: Bangladesh Relations.
P
Peter D’Costa posted a condolence
Friday, November 11, 2022
স্মরণে যেরোম ডি' কস্তা!
।।খ্রীষ্টফার পিউরীফিকেশন।।
কানাডার রিজাইনা থেকে আমার বেয়াই রাফায়েল পালমা, নভেম্বর ৬, ২০২২ তারিখে ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে আমাকে না পেয়ে টেক্সট ম্যাসেজ পাঠালেন, ‘আজ টরেন্টোতে শ্রদ্ধেয় যেরোমদা [যেরোম ডি’ কস্তা] মৃত্যুবরণ করেছেন।’ ম্যাসেজটি দেখেই রাফায়েল পালমাকে ম্যাসেঞ্জারে ফিরতি কল দেই। তিনি ভারী কণ্ঠে বললেন, দাদার এক ছেলের কাছ থেকে আমিও ম্যাসেজ পেয়েছি। তাই আমি নিশ্চিত, দাদা আর নেই!’ এভাবে আচমকা, যেরোমদার চিরতরে চলে যাওয়ার দুঃসংবাদ পাবো, তা কল্পনারও অতীত!
বিগত জুলাই ২৬, ২০২২ তারিখে কানাডার টরেন্টোতে তাঁর বাড়িতে যেয়ে, যেরোম ডি’ কস্তার সাথে সাক্ষাত করার সৌভাগ্য হয়েছিল, আমার। সপরিবারে আমরা টরেন্টোতে গিয়েছিলাম, আমাদের ছোট ছেলের বিয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান করার উদ্দেশ্যে। সেই অনুষ্ঠানে আমাদের দু’পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যেরোমদার ও বৌদির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আমিও সুদীর্ঘকাল পর দাদার সাথে সাক্ষাত করতে উদগ্রীব ছিলাম। কিন্তু সেদিন, আমার সেই আশা পূরণ হয়নি! দাদার অসুস্থতার জন্য, বৌদি দাদাকে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে আসতে সাহস করেননি।
তাই ঠিক করেছিলাম, তাঁর বাড়িতে যেয়েই দেখে আসি দাদাকে ও বৌদিকে। সেদিন শিখা তেরেজা পালমা (রাফায়েল পালমার স্ত্রী এবং আমার বেয়াইন), রাফায়ল পালমা (আমার বেয়াই), শ্যামল জেমস রোজারিও এবং আমি , প্রবীণ গমেজের গাড়িতে চড়ে টরেন্টোর অন্টারিওস্থ যেরোমদার বাড়িতে যাই। দাদা আমাদের সময় দিতে পারবেন কিনা, যাবার আগে ফোনে বৌদির সাথে কথা বলে প্রবীণ নিশ্চত হয়। বৌদি যেরোমদার সাথে দেখা করার সম্মতি দিয়েছিলেন।
যেরোমদার বাড়িতে পৌঁছে দেখি, দাদা তাঁর ড্রয়িং রুমে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন! তাঁর নাকে লাগানো রয়েছে অক্সিজেনের লম্বা নল! অদূরেই একটি মেশিন চলছিল। তা থেকে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। মূলতঃ এত ঝামেলার কারণেই দাদাকে নিয়ে বৌদি আমাদের অনুষ্ঠানে যাননি।
তো, স্বতস্ফুর্ত ভাবেই দাদা এবং বৌদি আমাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। সত্যি, এতদিন পর দাদা ও বৌদিকে দেখে বিশেষতঃ আমি আপ্লুত হয়েছিলাম! আমার মন কিছুটা বিষণ্ণ ছিল। আমার ডিএসএলআর ডিজিটাল ক্যামেরা সাথে নিয়ে গিয়েও, মনের ভুলে তা প্রবীণের বাসায় রেখে গিয়েছিলাম! তাই মোবাইল ফোনে সংযুক্ত ক্যামেরাতেই, দুধের স্বাদ ঘোলে সারতে হলো! অবশ্য আমার বেয়াই তাঁর ডিজিটাল ক্যামেরায়, কিছু ছবি এবং ভিডিও ধারণ করেছিলেন। বৌদি তাৎক্ষনিক আয়োজনে চিতই পিঠা, চিকেনকারী, চা ও কফির ব্যাপক সমাহারে আমাদের আপ্যায়ন করে ছেড়েছিলেন! বৌদি, ‘হাই খ্রীষ্টফার কেমন আছো ভাই’ বলে আমাকে অবাক করে দিয়েছেন। এত বৎসর পরেও আমাকে মনে রেখেছেন বৌদি!
অনেকক্ষণই ছিলাম আমরা, যেরোমদার সান্নিধ্যে। দাদা অতীতের অনেক বিষয়ে স্মৃতিচারণ করলেন। সেখানে ছিল ‘সাপ্তাহিক প্রতিবেশী’, ‘প্রতিবেশী প্রকাশনী’, ‘বাণীদিপ্তী’, বাংলাদেশের কাথলিক মণ্ডলীর ইতিহাস প্রসঙ্গ, আমাদের খ্রিষ্টীয় সমাজ, এবং একই সাথে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সহ নানা প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, যেরোমদা, রাফায়েল পালমা, শ্যামল জেমস রোজারিও এবং আমি সকলেই ছিলাম ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কর্মী। প্রায় দু’ঘণ্টা ব্যাপী আলাপচারিতায় আমরা, পিছনে রেখে আসা বাংলাদেশকে সামনে রেখে সোনালি দিনগুলির পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় বিচরণ করেছি। আমরা সকলেই যেন ‘নস্টালজিক’ হয়ে পড়েছিলাম! সেদিন এতটুকু চিন্তা করিনি, দাদার সাথে এ আলাপনই আমাদের জীবন গ্রন্থের শেষের পাতায় সোনালি হরফে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে! তাঁর সাথে এ দেখাই হলো; আমাদের শেষ দেখা!
আমাদের পেয়ে, প্রতিবেশীর সেই সোনালি দিনগুলির স্মৃতিচারণ করেছিলেন দাদা। সে সময় প্রতিবেশীর সম্পাদক ফাদার জ্যোতি এ, গমেজ এবং অন্যান্যদের মত যেরোমদাও আমাদের লিখতে অনুপ্রাণিত করেছেন। প্রতিবেশীর বাইরে, জাতীয় দৈনিকে ও সাময়িকে সমান তালে লিখতেও বলতেন। শুধুমাত্র লেখা নয়, পড়তেও হবে প্রচুর। একটি বই লিখার আগে, একটি লাইব্রেরির বই পড়ে শেষ করতে হবে, এই বলে প্রণোদিত করেছেন তিনি। যেরোমদার লক্ষ্মীবাজারের বাড়িতে দেখেছি, বইয়ের বিশাল বহর! তাকের উপর তাক ভরতি, শুধু বই আর বই! বাড়ির সিলিং পর্যন্ত বইয়ের আর পত্র-পত্রিকার লট! উঁচু মই লাগানো ছিল বই সংগ্রহ করার জন্য, আমি যা অন্য কোন লাইব্রেরিতে দেখিনি। উপর থেকে বই সংগ্রহ করার জন্য, মই ব্যবহার করতে দেখেছি যেরোমদার বাড়িতে! আমার মনে প্রশ্ন ছিল, কানাডা আসার পূর্বে তিনি, বইগুলোর কী ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন? অবশ্য আমাকে তিনটা বই উপহার দিয়ে এসেছিলেন। সেই প্রশ্নটা দাদাকে করতে পারিনি। ভুলেই গিয়েছিলাম! করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এ রকমই, স্মৃতিভ্রম হচ্ছে। অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার একটি, পোস্ট কোভিড সিন্ড্রোম ব’লেই বিশ্বব্যাপী যা পরিচিতি লাভ করেছে!
যেরোমদা তাঁর সময় প্রতিবেশীতে কার্টুন, গল্পের স্কেচ করতে, আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এমনকি নিয়মিত কলাম লিখতেও সুযোগ ক’রে দিয়েছিলেন। যার ফল ছিল, আমার স্বনামে ‘বাংলাদেশের হালচাল’ শীর্ষক কলাম। অবশ্য আমার নিজের মনের দৈন্যতার কারণেই, তা বেশীদিন প্রলম্বিত করতে পারিনি। তিনি আমাকে প্রতিবেশীতে যোগ দিতেও বলেছিলেন। ১৯৮২তে আমি একই সাথে স্নাতকের ও প্যারামেডিক্যালের পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমি বলেছিলাম, দাদা, প্যারামেডিক্যালটা শেষ করি আগে। তাই দেখা হলেই যেরোমদা আমাকে বলতেন, ‘কী খবর তোমার, বেয়ার ফুটেট (নগ্নপদী) ডক্টর?’ নিধনদা ও যেরোমদা পরিবার নিয়ে প্রতিবেশী কাছাকাছি পাশাপাশি সংলগ্ন বাড়িতে থাকতেন। আমরা কতবার যে তাঁদের সেই বাসায় ছুটে গিয়েছি আর চা-বিস্কুটে আপ্যায়িত হয়ে আড্ডায় মেতেছি, তার ইয়ত্তা নেই! এখন তাই মনে হয়, কোথায় মিলিয়ে গিয়েছে আমাদের সেই সোনালি দিনগুলি!
তো, যেরোম ডি’ কস্তাকে সাপ্তাহিক প্রতিবেশীতে আমরা একজন সফল সম্পাদক হিসেবেই পেয়েছিলাম। তিনিই প্রথম একজন সাধারণ খ্রিস্টভক্ত, যিনি সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সম্পাদকের পদ অলংকৃত করেছিলেন। সাংবাদিকতা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মার্কিন মুলুকে উচ্চতর পড়াশুনা, সবকিছু মিলিয়ে তাঁকে জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় করেছিল সমৃদ্ধ।
প্রতিবেশীতে সেই সময়কার দিনগুলোর স্মৃতি আমাদের চেতনায় চিরভাস্বর হয়েই আছে! আমরা কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া যুবক, প্রতিষ্ঠত হওয়ার জন্য‘উঠতি লেখক’ হিসেবে প্রাণচঞ্চল ছিলাম। সুযোগ পেলেই গুলিস্তান, নবাবপুরের ঘিঞ্জি পরিসর কাটিয়ে জনসন রোড দিয়ে, কোর্টকাচারি, ভিক্টোরিয়া পার্ক পেরিয়ে ছুটে যেতাম লক্ষ্মীবাজারস্থ ‘প্রতিবেশী’ কার্যালয়ে। সেখানে দেখা মিলত, আমাদের কাছে ‘তিন পণ্ডিত’ খ্যাত নিধন ডি’ রোজারিওর, মার্ক ডি’ কস্তার এবং যেরোম ডি’ কস্তার। সাথে মাঝেসাঝে দর্শন মিলতো ফ্রান্সিস গমেজের, হেবল ডি ক্রুজের। খ্রিস্টান ছাত্র কল্যাণ আয়োজিত বিভিন্ন সম্মেলনের, এবং পরে বাংলাদেশ খ্রিস্টান লেখক গোষ্ঠীর সাহিত্য আসরের এবং সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর নানাবিধ কর্মশালার সুবাদে আরও অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছি। প্রতিবেশীতে পেয়েছিলাম সুবল এল, রোজারিও, উইলিয়াম অতুল ও নীলু রুরামকে। এই আবহে আলো ডি রোজারিও, অতুল সরকার, জেন কুমকুম রোজারিও, আলবার্ট প্রসাদ বসু, স্টিফেন কোড়াইয়া, জন মার্টিন ডি রোজারিও, অনিমা চাকলাদার অনি, লিলি মেরীলিন কোড়ায়া, গডফ্রে প্রাণতোষ হালদার (প্রয়াত), লরেন্স দান্তে হালদার (প্রয়াত), এলড্রিক বিশ্বাস, মার্ক পেরেরা সহ আরও অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছি। একসময় মার্শেল এ, গমেজ, খোকন কোড়ায়া, স্বপন খ্রীষ্টোফার পিউরীফিকেশন (প্রয়াত) এবং আমি এই চারজনে মিলে গঠন করলাম ‘প্রত্যয় সাহিত্য চক্র।’ যেরোমদা সহ অনেকের উৎসাহ উদ্দীপনার কথা আজীবন মনে থাকবে।
যেরোম ডি’ কস্তা সাংবাদিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ করেছেন ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে। আমেরিকার ‘ইউনিভারসিটি অব পোর্টল্যান্ড’, অরেগন থেকে ‘কমিউনিকেশন আর্টস’ নিয়ে, ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে তৎকালীন ‘কোর’ এবং পরে পরিবর্তিত ‘কারিতাস বাংলাদেশ’ নামক খ্রিষ্টীয় সংস্থায় ‘ইনফরমেশন অফিসার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই প্রথম একজন সাধারণ খ্রিস্টভক্ত, যিনি কাথলিক যাজকদের দ্বারা প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রাচীনতম প্রকাশনা সাপ্তাহিক ‘প্রতিবেশী’তে একজন নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে এবং পরে প্রধান নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে তাঁর দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন।
তিনি হংকং ভিত্তিক ‘মেরিনল যাজক সমম্প্রদায়’ পরিচালিত কাথলিক সংবাদ সংস্থা ‘উকান’-এর বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকে তাঁর প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন পারদর্শী চিত্রগ্রাহক। তাঁর তোলা ছবি দৈনিক ইত্তফাকের সাপ্তাহিক প্রকাশনা ‘রোববার’ এর প্রচ্ছদ হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে।
সাপ্তাহিক প্রতিবেশীতে দায়িত্ব পালনের পর যেরোম ডি’কস্তা, ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’ সংস্থায় ‘কমিউনিকেশন ম্যানেজার’ এবং ‘এসোসিয়েট ডিরেক্টর অব পার্টনারশিপ ডিভিশন’ হিসেবে ছিলেন। এবং কিছু সময় ‘এ্যাকটিং এক্সেকিউটিভ’-এর দায়িত্বও পালন করেছেন। এরপর তিনি সপরিবারে কানাডায় থিতু হন। সেখানে তিনি, ‘সুপার ড্রাগ মার্ট’-এ ‘সার্ভিস পারসোনেল’-এ দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলেন। কানাডাতেও তিনি, একজন সৃজনশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। তাঁর পেশার পাশাপাশি তিনি, ‘বাংলাদেশ কানাডা এন্ড বিইয়ন্ড’ নামে একটি ব্লগে তাঁর দক্ষতার, নিরবিচ্ছিন্ন অক্লান্ত পরিশ্রমের এবং দায়িত্ববোধের স্বাক্ষর রাখেন। বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বের খ্রিষ্টীয় মণ্ডলীর, বিশেষতঃ কাথলিক জগতের বিভিন্ন তথ্যের সমাহারে তাঁর এ ব্লগ সমৃদ্ধ করতে সদা সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর সৃষ্ট ‘বাংলাদেশ কানাডা এন্ড বিইয়ন্ড’ তথ্যসমৃদ্ধ ব্লগটি, মূল্যবান তথ্যভাণ্ডার হিসেবে আমাদের অনেকের সহায়ক হবে, মনে করি।
সাপ্তাহিক প্রতিবেশীতে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি, তিনি ‘সংবাদীয় কথকতা’ শীর্ষক কলামটিও সুদীর্ঘসময় চালু রেখেছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার পূর্বসময় পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রকাশিত সংকলন, ম্যাগাজিনে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করেছেন। একজন লেখক হিসেবে তিনি কাথলিক চার্চের সময়োপযোগী সংস্কার সাধনের জন্য বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে, তাঁর মতামত ব্যক্ত ক’রে তাঁর প্রস্তাবনা পরিবেশন করেছেন।
তাঁর লেখা, ‘বাংলাদেশে কাথলিক মণ্ডলী’ তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থটি, মূল্যবান দলিল হিসেবেই সর্বশ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়ে আসছে। এটি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রতিবেশী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত হয়। আমাদের বিশ্বাস, আগামীতেও এই গ্রন্থটি গবেষণাধর্মী কর্মের জন্য প্রাজ্ঞজনের পক্ষে সহায়িকা হিসেবে এবং সাধারণ পাঠকের কাছে বহুল সমাদৃত হবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, লেখক, ব্লগার, অনুবাদক, ফটোগ্রাফার ও সমাজ সেবক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ, সৎ, অমায়িক, ধীরস্থির, হাস্যোজ্জ্বল এবং প্রজ্ঞাবান একজন অনুকরণীয় চরিত্রের মানুষ। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর জ্ঞানের পরিধিও ছিল ব্যাপক। তিনি তাঁর কথায়, পরামর্শে এবং যুক্তিতে সহজেই মানুষকে অনুপ্রাণিত ও ঋদ্ধ করতে পারতেন। তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাঁরা নিশ্চয় এ কথা স্বীকার করবেন। তাঁর জীবন থেকে অনেক কিছুই শিক্ষণীয় রয়েছে।
শ্রদ্ধেয় যেরোমদা একজন শহীদের সন্তান! তাঁর বাবা পিটার ডি’ কস্তা একাত্তরে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। বাংলাদেশ ও জনগণের প্রতি যেরোমদার ছিল গভীর শ্রদ্ধা, আনুগত্য এবং দায়িত্ববোধ। আমরা তাঁর জীবনে, তারই প্রতিফলন দেখেছি।
যেরোম ডি’ কস্তা নিজস্ব মেধা, মনন দিয়ে সমাজের জন্য, তাঁর ঐকান্তিক দায়িত্ববোধের অমর স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন, যা আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনেকের প্রেরণার উৎস হিসেবে টিকে থাকবে। এ সময় প্রত্যাশা রাখি, প্রতিবেশী প্রকাশনীর উদ্যোগে তাঁর সমস্ত লেখা একত্রিত ক’রে একটি বই প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া হবে। একই সাথে তাঁর রচিত ‘বাংলাদেশে কাথলিক মণ্ডলীর ইতিহাস’ গ্রন্থটি পুনর্মুদ্রণ করে, তা সর্বশ্রেণীর পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করছি।
সেদিন, যেরোমদার বাসায় স্মরণীয় সেই সাক্ষাত পর্বের শেষে, তিনি চেয়ার থেকে উঠে, তাঁর বৈঠকখানা থেকে হেঁটে আমাদের সাথে বেরিয়ে এলেন বাড়ির সামনের লনে। একসাথে আমরা ছবি তোললাম। তাঁর হাতে হাত মিলিয়ে, শেষবিদায় নিলাম। দেখলাম, তিনি হেঁটে ভিতর বাড়ির দরোজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। পিছন দিকে ফিরে, তিনি আবার হাত নাড়ালেন। মনে মনে হয়তো বা বলেছেন, ‘আবার তো হবে দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয়!’
আমরা বাইরের বাগান সংলগ্ন ছাউনি ঘরে গেলাম। সেখানে, বৌদি আমাদের সাথে বসে ছবি তুললেন। তাঁর সাথে কিছুক্ষণ অতীত ও বর্তমান নিয়ে কথা হলো। তারপর তাঁর কাছ থেকেও বিদায় নিলাম আমরা পাঁচজন। গাড়িতে আসন নিলাম। গাড়ির দরজা বন্ধ হলো। বাইরে থেকে বৌদি হাত নেড়ে আমাদের ‘বাই বাই’ বললেন। ‘আবার দেখা হবে’ বলে, আমরাও হাত নাড়ালাম।
একান্ত আপন মানুষকে চিরতরে হারিয়ে, বৌদি এখন শোকে মুহ্যমান। তাঁকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা, আমাদের জানা নেই! আমাদের এ জগত থেকে যেরোমদা, এখন যোজন যোজন সীমাহীন দূরত্বে অবস্থান করছেন! তাঁর পরিবারও আমাদের কাছাকাছি, পাশাপাশি নেই। এ সময় তবুও বলি, ভালো থাকুন বৌদি আপনারা পরিবারের সকলে মিলে। মহান ঈশ্বর, আপনাদের, প্রিয়জন হারানোর দুঃখভার লাঘব করুন! সান্ত্বনা দিন! তিনি মহান ঈশ্বর, যেরোমদাকে স্বর্গে তাঁর আবাসে চির শান্তিতে রাখুন! এই প্রার্থনা করি।
[কৃতজ্ঞতাঃ যেরোম ডি’ কস্তার কিছু তথ্য মিঃ রাফায়েল পালমার কাছ থেকে এবং ‘বাংলাদেশ কানাডা এন্ড বিইয়ন্ড’ ব্লগ থেকে সংগ্রহীত]।
স্মরণে যেরোম ডি' কস্তা!
।।খ্রীষ্টফার পিউরীফিকেশন।।
P
Peter posted a condolence
Friday, November 11, 2022
আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা এবং প্রার্থনা রইল। শান্তিতে বিশ্রাম করুক। প্রার্থনা করি মেরীদির পরিবারকে এই কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা ঈশ্বর দান করুক।
মেরী তেরেজা বিশ্বাস
ঢাকা।
P
Premu Rozario posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
Jerome was my classmate at St. Gregory and Notre Dame college. He was a dedicated journalist and written many historical documents about the foundation of Christianity in Bangladesh. As a matter of fact, I consider him as an encyclopedia of our religious doctrine in East Bengal. He was a scholar and will be remembered for a long time.
I pray for his soul Rest In Peace. My sincere condolences to his family. Premu Rozario NJ
P
Peter posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
Francis Rosario
Jerome da was an encyclopedia in the world of knowledge on the history of Bengal Church n communities in Bangladesh. He was a great journalist a historian n very knowledgeable of world current affairs n matters concerning the Church. At a stage in my own research he guided me with materials n information that r truly valuable n I cherish them to this day. May his soul rest in peace! Surely, he is in the company of saints. Here was a man who had no guile n he loved his church n humanity. FR Francis Sunil Rosario
P
Peter posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
What a terrible news to wake up to!! I am so sorry to hear Jerome da is no more. Like many others I worked very closely with him for many years in World Vision Bangladesh's Communications team replacing him as the Manager, while he got promoted to Associate Director's role. Fond memories are far too many. He was also related to me from my wife's side. A great man, a great human being, he certainly left indelible marks in my professional development for which I am forever indebted. I went to visit him about 7 years ago in Canada and was planning to go back again this year but due to busyness of life it never happened. Had I known.... I knew he has been sick, but little did I know he would pass away so soon! My sincere condolences to Jerome da's wife and children and pray that God will give them strength to bear this loss. 'Even though I walk through the valley of the shadow of death, I will fear no evil, for you are with me', Psalm 23:4.
P
Peter D'Costa posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
William Ashim Costa
তোমাকে অনেক ভালোবাসি দাদা । তোমারে ভুলার নয়, তুমি ছিলে আমাদের আর্দশ, চলার পথেয়, আলোর পথিক । তোমার অবদান কখনো ভুলার নয় । উজ্জ্বল তোমাদের শোকে আমরাও শোকর্ত, ব্যাথিত ।ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা তিনি যেন তার প্রিয় সন্তানকে অনন্ত বিশ্রাম দান করেন ।
P
Peter D'Costa posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
Rikta Mazumder
He was very lucky to have you all besides him on his way of last journey
P
Peter D'Costa posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
Dear Mary Aunty and Family,
We are deeply saddened by the news of Jerome Uncle. We share our deepest condolence
and prayers for all of you. May God give you strength to bear this pain.
I remember meeting him for a very short time but since then I wished I could have more time
to spend and learn. We lost a great resource that can never be replaced.
I heard a lot about Jerome uncle specially from my Mother-in law Helen Rozario and my
husband, Lawrence Apu Rozario. Apu remembers whenever the articles were ready, he
used to be sent to “Protibeshi Office” to hand in over the documents to Jerome uncle.
Janet Gomes
Lawrence Rozario
Sean Rozario
Toronto
P
Peter D'Costa posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
Dear Mary,
It is with deep sadness that we received the news yesterday of the passing of your
beloved husband, Mr. Jerome D'Costa. As you know, he was such a good friend of
mine. I came to know him especially from the time he served as the Editor of The
Weekly Pratibeshi and the Director of the Christian Communications Center in
Dhaka.
He was a gentle and kind person deeply committed to Gospel values. His numerous
writings, journalistic reports, and his social activities, all show how sincerely he
executed his responsibilities. His tremendous contributions to the Church in
Bangladesh and to society will never be forgotten!
He was also a great promoter of Art and Culture. I recall how eagerly he wanted to
know about the progress I was making with regard to my compositions of new
Bengali songs based on the Psalms of the Holy Bible. And, as soon as the first
volume of "Amar Praner Psalmgeet" was published, he wrote a beautiful article on it
and published it with pictures in his Blog. I am ever so grateful to him for his kind
words and his inspirations. With his passing we have lost a caring friend, a great
thinker and a writer of immense depth on contemporary issues.
On this day of great sorrow, I and my entire family, wish to express to you and to all
your children and their families and relatives, our deepest condolences. May God
give all of you the strength to bear this tremendous loss. And, may Jerome's soul find
eternal rest in the Peace of Christ!
With warm regards,
Dr. Bart Shaha
Former Secretary General of the World Alliance of YMCAs.
P
Peter D'Costa posted a condolence
Thursday, November 10, 2022
হেলেন রোজারিও
লেখিকা, সাপ্তাহিক প্রতিবেশী
ঢাকা, মগবাজার, বাংলাদেশ।
জেরমদার প্ৰতি শ্রদ্ধা
জেরম ডি'রোজারিও - আমি তাকে জেরমদা বলে ডাকতাম। জেরমদা আমাকে হেলেনদিদি বলে সম্মান
দিতেন। তিনি বাংলাদেশ খৃষ্ট মন্ডলীর যোগাযোগ সংস্থার একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব ছিলেন।
একসময় জেরমদা সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সম্পাদক ছিলেন। তখন আমিও ছিলাম মহিলাঙ্গনের পরিচালিকা।
প্রায়ই আমি যেতাম প্রতিবেশী অফিসে, মহিলাঙ্গনের লেখাগুলো চেক করতে। ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ,
সামাজিক, ধর্মীয় কোনো সমস্যাপূর্ণ লেখা থাকলে আমাকে ডেকে পাঠাতেন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে
সমাধানযোগ্য লেখা ছাপার জন্য দেয়া হত।
বিগত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে কানাডায় তার সাথে ও মেরী বৌদির সাথে একটি পারিবারিক অনষ্ঠু ানে দেখা
হয়েছিল। আমাকে বললেন, "এতো লিখলেন - বই আকারে বের করলেন না? একটি বই বের করুন।" আরো
কতো আলাপ হলো। আমাকে কানাডায় দেখে খুবই খুশী হলেন।
তিনি আজ নেই - স্মৃতিগুলো শুধুদেখছি। চোখে পড়ে প্রতিবেশী অফিসের সম্পাদকের চেয়ারে বসা, হাসি,
কথা সব।
আজ আমি জেরমদার বিদেহী আত্মার কল্যান কামনা করছি ও তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের শান্তি ও মঙ্গল
কামনা করছি।
M
The family of Mr. Jerome D'Costa uploaded a photo
Tuesday, November 8, 2022
/tribute-images/cropped/1907/Mr-Jerome-D-Costa.jpg
Please wait
D
The family of Mr. Jerome D'Costa uploaded a photo
Tuesday, November 8, 2022
/tribute-images/cropped/1908/Mr-Jerome-D-Costa.jpeg
Please wait